গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে মহসীন আলী (২৭) নিজের স্ত্রী শেফালী খাতুনকে ( ২৫ ) শ্বাসরোধে হত্যার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে ।
শনিবার (৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ও হাতের মুঠোয় একটি চিরকুটসহ গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, শনিবার সন্ধ্যায়ীই দম্পতির ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শেফালী খাতুনকে খুন করে। তারপর এটিকে আত্মহত্যা হিসাবে প্রচারের জন্য স্বামী মহসীন আলী নিজেই চিরকুট লিখে – “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, কারো কোনো দোষ নেই।” কিন্তু এরপরই সিদ্ধান্ত বদল করে মহসীন। প্রতিবেশীদের জানিয়ে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ।
৪ বছর আগে মহসীনের সঙ্গে গাইবান্ধা সদরের মোল্লাপাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। মহসীন বেকার থাকায় আর্থিক অনটননের কারণে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এছাড়া শেফালীর সন্তান হচ্ছিল না এই বিষয় নিয়েও মহসীন অসন্তুষ্ট ছিল। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে হতাশাগ্রস্তও ছিল। মহসীন স্ত্রীকে চরিত্রগত ব্যাপারে সন্দেহ করতো এবং শেফালী ‘কুফরি কালাম’ করতো বলে তার অভিযোগ ছিল। এসকল কারণে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ঘাতক স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করে ।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান এই ঘটনার পর সাদুল্লাপুর থানায় পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি খুনের ঘটনা। সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া চিরকুটটি মহসীনের লেখা বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিজের ওপর থেকে সন্দেহ সরাতে সে এ কাজটি করে। তদন্তের পর সব কিছু স্পষ্ট হবে।’
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর থানায় এসে স্বামী মহসিন আলী হত্যার দায় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছে।