বগুড়া শহরের সাতমাথা থেকে তিনমাথা সড়ক রোববার (৯ জুলাই) দুপুর ১:১৫ থেকে ১ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার চালকেরা। এতে করে সাধারন যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।
জানা গেছে, রোববার সকালে শহরের সাতমাথা থেকে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখার অপরাধে ৫ টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালককে মামলা দিয়ে সিএনজিগুলো আটক করে পুলিশ। মামলা দেয়ার প্রতিবাদে দুপুর ১:১৫ থেকে ১:৪৫ মিনিট পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার চালকেরা। এতে করে প্রায় এক সহস্রাধিক জনগণ রাস্তায় আটকা পড়ে। তীব্র এই গরমে তাদের অবস্থা ছিল নাজেহাল। পরে মামলা তুলে নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছেড়ে দেয়ার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালকেরা।
অবরোধকারি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক আব্দুর রহিম জানান, ‘আমাদের সিএনজি ধরে মামলা দিয়েছে। রেলগেট, তিনমাথা, চারমাথা সব জায়গাতেই এরকম। গাড়ি ধরেই ১০ হাজার টাকার মামলা দিচ্ছে। একদিনে আমরা ৫‘শ টাকা ইনকাম করি। এতো টাকা জরিমানা দিব কীভাবে?’
অবরোধকারি আরো একজন সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক জহুরুল ইসলাম জানান, ‘টাকা দিলেই সব ক্লিয়ার। টাকা না দিলে আমাদের জরিমানা করে ।’
এ বিষয়ে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু জানান, ‘টিআই সাহেব ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আটক করে মামলা দেয়। এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভাররা অসন্তুষ্ট হয়ে সড়ক অবরোধ করে। সিএনজি কখনো রাস্তার মাঝখানে রাখা হয় না। চালকদের দাবি সঠিক ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সাথে কথা হয়েছে। তিনি মামলা দিবেন না, সন্ধ্যায় গিয়ে গাড়ি নিয়ে আসতে বলেছে। এবং তারপরই অবরোধ তুলে নেয়া হয়।’’
এ বিষয়ে বগুড়া ট্রাফিক ফাঁড়ির টিআই মাহবুবুর রহমান জানান, ‘‘সিএনজি রাস্তার এক পাশে না রেখে তারা রাস্তার দুইপাশে গাড়ি দাঁড় করে রেখেছিল। এজন্য মামলা দেয়া হয়। তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই কোনো কাগজপত্রও ছিল না। পরে তারা রাস্তা অবরোধ করে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছে।’’