ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুখ খুললেন শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট

সুইডেনের রাজধানী টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে কিছুদিন আগে। এত বড় অবমাননা নিয়ে মুসলিম বিশ্ব সহ অনেক অমুসলিম দেশও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহ।

 

শ্রীলংকানে প্রেসিডেন্ট কোরআন পোড়ানোর ঘটনাটিকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন  এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার  কাউন্সিলের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

 

জাতিসংঘের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতার কথা বলে যদি এই ধরনের কর্মকান্ডের অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে, মূল্যবোধের দিক থেকে গ্লোবাল সাউথ ও পশ্চিমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হবে। গ্লোবাল সাউথ এর মূল্যবোধকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানান তিনি।

 

গত ২৮ জুন রাজধানী একটি মসজিদের সামনে সালওয়ান মোমিকা নামের একজন ব্যক্তি মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন  এর একটি কপি পুড়িয়ে দেয়। সুইডেন পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দেয় এবং একটি আদালত সালওয়ানকে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর  অনুমতিও দেয়।

 

পবিত্র ঈদুল আযহার দিন এমন ঘটনা ঘটায় বিক্ষোভে ফেটে পরে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। বিশ্বব্যাপী এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র এই ঘটনার প্রতিবাদে ইরান, তেহরানে নিযুক্ত সুইডিশ চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কে তলব করে। এছাড়াও নিন্দা ও প্রতিবাদ চলে আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে।

 

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় মরক্কো, মিশর, ইরাক, জর্ডান, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও ফিলিস্তিন।

 

 

এমনকি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমা দেশগুলোকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি কিছু দেশ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করে না। তারা এ ও বলে কোরআন অবমাননা কোন অপরাধ নয়। কিন্তু আমাদের দেশে এটি আইনী ও সাংবিধানিক উভয়ভাবেই  অপরাধ।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুখ খুললেন শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় : ০৩:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

সুইডেনের রাজধানী টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে কিছুদিন আগে। এত বড় অবমাননা নিয়ে মুসলিম বিশ্ব সহ অনেক অমুসলিম দেশও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহ।

 

শ্রীলংকানে প্রেসিডেন্ট কোরআন পোড়ানোর ঘটনাটিকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন  এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার  কাউন্সিলের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

 

জাতিসংঘের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতার কথা বলে যদি এই ধরনের কর্মকান্ডের অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে, মূল্যবোধের দিক থেকে গ্লোবাল সাউথ ও পশ্চিমাদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হবে। গ্লোবাল সাউথ এর মূল্যবোধকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানান তিনি।

 

গত ২৮ জুন রাজধানী একটি মসজিদের সামনে সালওয়ান মোমিকা নামের একজন ব্যক্তি মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন  এর একটি কপি পুড়িয়ে দেয়। সুইডেন পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দেয় এবং একটি আদালত সালওয়ানকে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর  অনুমতিও দেয়।

 

পবিত্র ঈদুল আযহার দিন এমন ঘটনা ঘটায় বিক্ষোভে ফেটে পরে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। বিশ্বব্যাপী এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র এই ঘটনার প্রতিবাদে ইরান, তেহরানে নিযুক্ত সুইডিশ চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কে তলব করে। এছাড়াও নিন্দা ও প্রতিবাদ চলে আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে।

 

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় মরক্কো, মিশর, ইরাক, জর্ডান, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও ফিলিস্তিন।

 

 

এমনকি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমা দেশগুলোকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা জানি কিছু দেশ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে সম্মান করে না। তারা এ ও বলে কোরআন অবমাননা কোন অপরাধ নয়। কিন্তু আমাদের দেশে এটি আইনী ও সাংবিধানিক উভয়ভাবেই  অপরাধ।