দীর্ঘদিন ধরে চলা সামরিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুরতাজা সৈয়দ রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ায় ঋণ না পেলে ধুঁকতে হবে পাকিস্তানকে।
এ বছর মূল্যস্ফীতি বেড়ে পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, যেমন- পেঁয়াজ, মুরগির মাংস, ডিম, চাল, সিগারেট ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা বিরাজমান। ঋণের জন্য পাকিস্তান দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা করে আসছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছিলেন, অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেশের সংকটাপন্ন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নে আইএমএফের কঠোর শর্ত গ্রহণে বাধ্য হচ্ছে পাকিস্তান।
রয়টার্স ও জিও নিউজ জানায় বৈশ্বিক সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অবশেষে নয় মাসের দীর্ঘ আলোচনার পর পাকিস্তানকে তিন বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। প্রথম ধাপে ঋণের প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ১২০ কোটি ডলার দেওয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান সার্বভৌম ঋণ খেলাপি হওয়ার আগে এই ঋণের সাহায্যে ঝুঁকি মুক্ত হবে।