আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের জানুযারি পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজার ১টি মামলা করা হয়েছে। ডিএসএ ভিক্টিমস নেটওয়ার্ক সর্বশেষ ১ হাজার ৩৩১টি মামলার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে দেখেছে, এই মামলাগুলোতে ৪ হাজার ১৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মামলা হয়েছে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ৪৩১টি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৩৬৮টি এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ১৬৪টি।
এর আগে ২২ই জুন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসএ ভিক্টিমস নেটওয়ার্কের পক্ষে এর সদস্য সচিব প্রীতম দাশ বলেন, ‘দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতের তথাকথিত অজুহাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তৈরি করা হয়। কিন্তু, দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিধান করছে না। বরং এই আইনের মাধ্যমে বিরুদ্ধ মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে খর্ব করা হচ্ছে। এই আইন হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের লুটপাট, পাচার ও জুলুমের নিরাপত্তার বর্ম। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নারী-পুরুষ, এমনকি শিশুরাও এই আইনে আক্রান্ত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের সকল মানুষকে অনিরাপদ করে তুলেছে এবং সকল নাগরিকের মাঝে ভয়ের সংস্কৃতি জোরদার করেছে।’