চীনের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বিশ্বের বৃহত্তম বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এক বিরল সম্মেলনের আয়োজন করছে । এই বৈঠকে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও বিনিয়োগকারীদের সে দেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সে বলা হয়েছে, আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠেয় এই বৈঠকে চীনে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা ও তারা কী কী সমস্যা মোকাবিলা করছে, সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
এমন এক সময়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন পশ্চিমা অর্থনীতিবিদরা চীনের অর্থনীতি নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেন । চীনের কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গতি হারিয়েছে। অন্যদিকে, নানা ইস্যুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনে উচ্চ প্রযুক্তি রপ্তানি বন্ধ করেছে।
রয়টার্স বলছে, চীনের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বিনিয়োগকারীদের সমস্যা-সংকট নিয়ে বৈঠক করবে যা এক বিরল ব্যাপার। এতে প্রকাশ পাচ্ছে , চীন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পেতে আগ্রহী।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, এই বৈঠকে অংশ নেবে বড় বিদেশি ও দেশি তহবিল ব্যবস্থাপক বিনিয়োগকারী ও অংশীদারেরা ।
রয়টার্সের কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানিয়েছে ,বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর চীনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ নির্বাহীরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন ।
২০২২ সালের চীনে কোভিডজনিত বিধিনিষেধ ছিল। এর প্রভাবে গত বছর চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন, মাত্র ৩ শতাংশ।
এদিকে কোভিড মহামারি,নানা কারণে পশ্চিমা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক টানাপোড়ন এবং সর্বশেষ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান চীন ছাড়তে শুরু করেছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে বেসরকারি খাত, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতের রাশ দেশটির সরকার টেনে ধরছে, ইকুইটি বিনিয়োগকারীরা তাদের লভ্যাংশ ও বিনিয়োগের সুযোগও নিয়ে অনিশ্চয়তার পড়েছেন।
গত জানুয়ারি মাসে কানাডার বড় পেনশন তহবিল বলেছে, তারা আর চীনের বেসরকারি সম্পদে বিনিয়োগ করবে না।
তবে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, এই বৈঠক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চীনের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বার্তা দিচ্ছে যে ২০২০ সালের শেষভাগে বেসরকারি খাতের ওপর যেভাবে শৃঙ্খলামূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা অ্যান্ট গ্রুপ ও টেনসেন্টের ওপর সম্প্রতি আরোপিত জরিমানার মধ্য দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে।