সিলেটে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে বিশ্বজিৎ দেবনাথ(২৬) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দাম্পত্য কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
শুক্রবার (২১ জুলাই) ওই এলাকার বিয়ানী হাউজ নামক ভাড়া বাসা থেকে শিমলা রানীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সিলেট সুরমা গেট এলাকা থেকে খুনি বিশ্বজিৎ দেবনাথকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ।
নিহত শিমলার বাবা জিতেন্দ্র দেবনাথ জানান, প্রায় ৭ মাস আগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নৃপেন দেবনাথের ছেলে বিশ্বজিতের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। তার ভাই বোনরা সরকারি চাকরি করলেও বিয়ের পরও বিশ্বজিৎ বেকার ঘুরে বেড়ানো ও আড্ডা দিয়ে সময় কাটানো ছিল তার নেশা। অথচ বিয়ের পর নগরের নয়াসড়কে একটি কসমেটিক্সের দোকানে চাকরি করে সংসার চালানোর পাশাপাশি সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স পড়ছিলেন শিমলা। বেকার স্বামীকে বুঝিয়েও কথা শুনতে পারেননি। বিয়ের পর থেকে স্বামীকে কাজ করার তাগাদা দিচ্ছিলেন স্ত্রী। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয় এবং বাবার বাড়ি মেজরটিলার নাথপাড়ায় চলে আসেন। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্বজিৎ স্ত্রীকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গেলে একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান বিশ্বজিৎ। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন শিমলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান(র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, বিভিন্ন তথ্য সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল রাত ১১টার দিকে শাহপরাণ সুরমা গেট এলাকা থেকে বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার (২২ জুলাই) ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।