২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ ১৯ বছরেও শেষ হয়নি। গ্রেনেড হামলা চালানো মামলার ১৩ আসামি এখনো ধরা পড়েনি।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যারা বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। গ্রেনেড হামলা নিয়ে দুটি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হতে পারে এ বছরই। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) এবং রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও জেল আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর। মামলার ২২৫ সাক্ষীর মধ্যে ২২৪ জনের সাক্ষ্য হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। সাক্ষ্য উপস্থাপনের পর শুরু হবে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক এবং রাষ্ট্রপক্ষের পাল্টা যুক্তি খণ্ডন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস বলেন, বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে গত ডিসেম্বরে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার শুনানি শুরু হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের আদেশ অংশ, মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের অংশবিশেষ পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করা হয়। এরই মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হলি আর্টিজানে হামলা মামলাটির ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয়। একজন বিচারক পবিত্র হজে এবং অপরজন চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করায় মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকে। চলতি সপ্তাহে পুনরায় শুনানি শুরু হবে। তিনি বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এ বছরই দুটি মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে বলে আশা করছি। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আশা করছেন, চলতি বছরেই হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি হবে। আর ১২ থেকে ১৫ কার্যদিবস শুনানি হলেই মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসবে।
চেয়ারম্যান : মিসেস সাজিয়া আইরিন
সম্পাদক মন্ডলির সদস্যআবু জাফর মনসুর আহম্মেদ
মোঃ লুৎফর রহমান
সম্পাদক ও প্রকাশক : রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান
©Dynamic Media Action Ltd