সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বসতঘরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ঘুমের মধ্যে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে এবং একই পরিবারের ৪ জন মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন জেসমিন আক্তার (৩২) ও তাঁর মেয়ে সুমাই আক্তার (১৩)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার জাফলং এলাকার রসুলপুর গ্রামে। দগ্ধ চারজন হলেন জেসমিন আক্তারের স্বামী ইয়াকুব আলী, ইয়াকুবের মা ও ইয়াকুবের দুই ছেলে জুনাইদ (৫) ও জুবাইর (৪)। গতকাল রোববার ২০ আগস্ট মধ্যরাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইয়াকুব আলী নিজ ঘরের একটি কক্ষে মুদিদোকান চালাতেন। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডারও বিক্রি করতেন। দোকানসংলগ্ন ছিল তাঁদের থাকার ঘর। সেখানে তাঁর মা, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। গতকাল রাতে দোকান বন্ধ করে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ ঘরে আগুন ধরে যায়। এ সময় দোকানে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে মা-মেয়ের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে দগ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এদিকে জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. বায়েজিদ বোস্তামী বলেন, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাঁরা আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পথে রওনা দেন। পরে সেখান থেকে দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দগ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিক্রির জন্য মজুত করে রাখা গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান বলেন, মারা যাওয়া দুজনের দাফন-কাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে এবং দগ্ধ প্রতি জনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে সিলেট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান : মিসেস সাজিয়া আইরিন
সম্পাদক মন্ডলির সদস্যআবু জাফর মনসুর আহম্মেদ
মোঃ লুৎফর রহমান
সম্পাদক ও প্রকাশক : রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান
©Dynamic Media Action Ltd