জামায়াত নেতারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং জামায়াত কখনও কোনো প্রহসন ও পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভা এই মন্তব্য করা হয়েছে।
সভায় বলা হয়- আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতি সন্নিকটে। এখনও দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে বুদ্ধিজীবী মহল ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মতামতকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে সরকার দেশকে একটি অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার অশুভ চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। আমরা সরকারকে সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। জামায়াতে ইসলামী একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। জামায়াত কখনও কোনো প্রহসন ও পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। গত ১৫ বছর ধরে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আসছে। মানুষ তার সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের সাথে যে নিষ্ঠুর আচরণ করছে তা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়। পুলিশ প্রতিনিয়ত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হানা দিচ্ছে। বাড়ি-ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও তছনছ করছে। বাড়িতে থাকা মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের সাথে অসম্মানজনক আচরণ করছে যা অত্যন্ত গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ।
এছাড়াও অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি মেনে নিয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করেন জামায়াত নেতারা।