ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেলে দেওয়া রসুনের খোসার ৫টি ব্যবহার

রোজকার রান্নায় রসুন নিয়মিত ব্যবহার করে থাকি আমরা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে সর্দি-কাশির ঘরোয়া টোটকাসহ রসুনের রয়েছে নানারকম গুণাবলী।

কিন্তু এই রসুনের মতো রসুনের খোসাও কি ততটাই গুণের অধিকারী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রসুনের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তা শরীরের নানা উপকারে লাগে।

এ ছাড়া, গাছের জন্য কম্পোট সার তৈরি করতেও ব্যবহার করা যায় রসুনের খোসা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক আর কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যায় এই খোসা-

১. পরিষ্কার কাচের শিশিতে রোদে শুকনো করে গুঁড়ো করা রসুনের খোসা এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের ওই শিশি রোদে বসিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। স্যালাডের ড্রেসিং হিসাবে অনেকেই এই তেল ব্যবহার করে থাকেন।

২. ভিনিগারের নিজস্ব গন্ধ খুব একটা ভাল নয়। অথচ রান্নার কাজে তা ব্যবহার করতেই হয়। তাই ভিনিগারের বোতলে বেশ কিছু রসুনের খোসা যদি রেখে দিলে এর গন্ধ কিছুটা হলেও কমবে। রান্নায় বা স্যালাডে ব্যবহার করা যায় এই ভিনিগার।

৩. রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে অন্যান্য আনাজের খোসা, ডিমের খোসার সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। গাছের পুষ্টি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই জৈব সার।

৪. সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দিতে দারুণ কাজ করে রসুনের চা। কিন্তু রসুনের ঝাঁঝাল গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তবে চায়ে রসুনের বদলে রসুনের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে সব গুণাগুণ বজায় থাকবে। ৫. রসুনের খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে কাচের বায়ুরোধী শিশিতে ভরে রাখতে পারেন। হঠাৎ রসুন শেষ হয়ে গেলে তার বিকল্প হিসাবে স্যুপ, স্টু, নুডল্‌স সবকিছুতেই ব্যবহার করা যাবে।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেলে দেওয়া রসুনের খোসার ৫টি ব্যবহার

আপডেট সময় : ০৬:৫১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রোজকার রান্নায় রসুন নিয়মিত ব্যবহার করে থাকি আমরা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে সর্দি-কাশির ঘরোয়া টোটকাসহ রসুনের রয়েছে নানারকম গুণাবলী।

কিন্তু এই রসুনের মতো রসুনের খোসাও কি ততটাই গুণের অধিকারী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রসুনের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তা শরীরের নানা উপকারে লাগে।

এ ছাড়া, গাছের জন্য কম্পোট সার তৈরি করতেও ব্যবহার করা যায় রসুনের খোসা।

চলুন জেনে নেওয়া যাক আর কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যায় এই খোসা-

১. পরিষ্কার কাচের শিশিতে রোদে শুকনো করে গুঁড়ো করা রসুনের খোসা এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের ওই শিশি রোদে বসিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। স্যালাডের ড্রেসিং হিসাবে অনেকেই এই তেল ব্যবহার করে থাকেন।

২. ভিনিগারের নিজস্ব গন্ধ খুব একটা ভাল নয়। অথচ রান্নার কাজে তা ব্যবহার করতেই হয়। তাই ভিনিগারের বোতলে বেশ কিছু রসুনের খোসা যদি রেখে দিলে এর গন্ধ কিছুটা হলেও কমবে। রান্নায় বা স্যালাডে ব্যবহার করা যায় এই ভিনিগার।

৩. রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে অন্যান্য আনাজের খোসা, ডিমের খোসার সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। গাছের পুষ্টি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই জৈব সার।

৪. সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দিতে দারুণ কাজ করে রসুনের চা। কিন্তু রসুনের ঝাঁঝাল গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তবে চায়ে রসুনের বদলে রসুনের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে সব গুণাগুণ বজায় থাকবে। ৫. রসুনের খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে কাচের বায়ুরোধী শিশিতে ভরে রাখতে পারেন। হঠাৎ রসুন শেষ হয়ে গেলে তার বিকল্প হিসাবে স্যুপ, স্টু, নুডল্‌স সবকিছুতেই ব্যবহার করা যাবে।