‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্র, বাক্স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কোনো রাজা-রানির রাজত্ব করার জন্য নয়। দেশে আজ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। এখন দড়ি ধরে টান মারার সময় এসে গেছে।’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস । আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আপনারা উদ্দীপ্ত হন, সম্মিলিত হন। ইনশা আল্লাহ, আমরা দড়ি ধরে টান মারব। এই হীরক রাজা আর থাকবে না।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আর কত রক্ত দেশের মানুষ দিলে শেখ হাসিনা ক্ষান্ত হবে? এই খুনি জালিম সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শয়তানির একটা সীমা আছে। সরকার চোর-ডাকাতদের মুক্তি দিচ্ছে, অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করুন। নইলে মাইর একবার শুরু হলে রেহাই পাবেন না।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহদী আহম্মেদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, মেহেরপুরের নেতা মাসুদ অরুণ, চুয়াডাঙ্গার মাহবুব হাসান খান, শরিফুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা।