
চট্টগ্রামে অনেক সমুদ্র সৈকত রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে পারকি সমুদ্র সৈকত, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত, আকিলপুর সমুদ্র সৈকত এবং এমন আরও অনেক সমুদ্র সৈকত।
কিন্তু সব সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করা তো আর সম্ভব না। তাই ভ্রমণকারীরা দ্বিধায় পরে যাই যে, কোন সমুদ্র সৈকতে যাওয়াটা সব থেকে বেশি ভাল হবে। আর সেই দ্বিধা দূর করবার জন্যই আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব চট্টগ্রামের সেরা তিনটি সমুদ্র সৈকত।
১. পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নাম শুনেনি এমন বাঙ্গালির সংখ্যা অনেক কমই আছে। প্রায় সবাই চট্টগ্রামের ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতটির কথা জানে এবং এটি চট্টগ্রামের একটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
এই সমুদ্র সৈকতটির সাথে আবার একটি কষ্টকর ইতিহাসও রয়েছে। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এই সমুদ্র সৈকতটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তাই চট্টগ্রামে গেলে এই সৈকতটির ভ্রমণে যেতে ভুলবেন না।
২. গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের আরেকটি নাম আছে এবং তা হলো মুরাদপুর সৈকত। ২৫৯ দশমিক ১০ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতটিকে একটি সংরক্ষিত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সরকার ঘোষণা দিয়েছে। চট্টগ্রামের একটি অন্যতম সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটন কেন্দ্র এটি।
আগে এই সৈকতের এতো বেশি পরিচিত না থাকাই সেখানে এতো বেশি পর্যটকও যেত না। তবে বর্তমানে এই সৈকতের পর্যটক সংখ্যা অনেক এবং দিন দিন তা বাড়ছে। তাই আপনি চাইলেও সীতাকুণ্ডের সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতটিতে ঘুরে আসতে পারেন।
৩. পারকি সমুদ্র সৈকত
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতটিও বেশ পরিচিত একটি পর্যটক কেন্দ্র। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতে গেলে আপনার মনে হবে যেন আপনি কক্সবাজারে আছেন।
এই সমুদ্র সৈকতটি নিয়েও ভ্রমণ পিপাসুদের অনেক আগ্রহ রয়েছে এবং এর একটি মূল কারণ হচ্ছে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা, যে কেউ কে মোগ্ধ করবে।
তো এই ছিল চট্টগ্রামের তিনটি সেরা সমুদ্র সৈকত, যেখানে আপনি ভ্রমণের জন্য যেতে পারেন। তাই যদি কখনও চট্টগ্রাম যান এবং সমুদ্র দেখার ইচ্ছে হয় তাহলে এই তিনটি সৈকতের যেই কোনো একটিতে চলে যেতে পারেন।