
প্রসূতি মায়ের অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বন্ধে সরকারের বিদ্যমান নীতিমালা আইনের অংশ। এখন থেকে নীতিমালা অনুযায়ীই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে জনসচেতনতা তৈরি করতে নীতিমালাগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেছেন, এ রায়ের ফলে সিজার বন্ধে বিদ্যমান নীতিমালাটি আইন হিসেবে পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিক প্রসবের ব্যাপক প্রচারণা এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধ করার লক্ষ্যে গাইডলাইনগুলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইনের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এই নীতিমালা মানতে এখন সবাই বাধ্য।
নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে হাইকোর্টের আরও একটি রায়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত জানান, উচ্চ আদালতের এ রায় দেশে অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।