সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ২০ অক্টোবর জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে রিয়াদ ফ্যাশন উইক। চলবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
অনেক দিন ধরেই এই উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা চলছিল। পথটা খুব সোজা ছিল না। অনেক ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়েছে সৌদি ফ্যাশন কমিশনকে। শেষমেশ প্যারিস মেনস ফ্যাশন উইক ও ওত কতুর উইকের সময় রিয়াদ ফ্যাশন উইক অনুষ্ঠিত হওয়ার সুখবর আসে। ওই সময় প্যারিসে আয়োজিত এই দুই ফ্যাশন উইকে সৌদি ফ্যাশন কমিশনের তত্ত্বাবধায়নে ১০০টি সৌদি ব্র্যান্ড তাদের কালেকশন প্রদর্শন করে।
আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বিশ্বে সৌদি ব্র্যান্ডগুলোর এ শোডাউন ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবারের এই ফ্যাশন উইকের শুরু হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণ ওপেনিং গালা ডিনারের মধ্য দিয়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব ও আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বিশ্বের ২৫০ প্রভাবশালী ব্যক্তি। রিয়াদ ফ্যাশন উইকে ৩০টি স্থানীয় ব্র্যান্ড তাদের গড়া সংগ্রহ প্রদর্শন করবে। প্রতিটি ব্র্যান্ডের দায়িত্বে রয়েছেন এক বা একাধিক মেধাবী ও সম্ভাবনাময় ডিজাইনার। তাঁদের মধ্যে অন্যতম মোহাম্মদ আশি।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের ফ্যাশন শিল্প উচ্চ আয়ের সবচেয়ে প্রত্যাশিত বৃদ্ধির হার ধরে রাখে। একটি পরিসংখ্যান বলছে, দেশটি রিটেইল বা খুচরা ফ্যাশন বাজারের বিক্রির হার ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধির খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বিলাসবহুল ফ্যাশনসামগ্রী ক্রয়ের মূল্য ২০২১ সালে ৯.৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছিল, যেখানে খোদ সৌদি আরবে ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
সৌদি আরব রক্ষণশীল দেশ হলে কী হবে! এত বছর ধরে সেখানকার বেশির ভাগ ধনী ফ্যাশনপ্রেমী গুচি, মিউ মিউ, শ্যানেল, ভারসাচের মতো নামীদামি ব্র্যান্ড থেকে নিজেদের পছন্দের পণ্য কেনাকাটা করে আসছেন। তবে এখন তাঁদের কাছে সুযোগ এসেছে নিজের দেশের ফ্যাশন ব্র্যান্ড থেকে বিশ্বমানের ফ্যাশনসামগ্রী কেনার। এতে দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে। রিয়াদ ফ্যাশন উইক মূলত স্থানীয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের প্রচারণার সুযোগ করে দিয়েছে।