২৩ জন নাবিক এবং প্রায় ৮০ কোটি টাকার কয়লা সহ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
জাহাজটিকে গত সপ্তাহে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করে পরবর্তী সময় সোমালিয়ার উপকূলে নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক দশক শান্ত থাকার পর এটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের দ্বারা গত নভেম্বর থেকে ২০টিরও বেশি জাহাজ ছিনতাই চেষ্টার সর্বশেষ ঘটনা।
এদিকে আব্দুল্লাহকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর একটি সম্মিলিত দল। বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ জলদস্যুতের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন নামের ওই জাহাজটিকে গত ডিসেম্বর ছিনতাই করা হয়েছিল। অভিযানে ভারতীয় কমান্ডোরা জাহাজে জিম্মি ১৭ নাবিক ও ক্রুকে মুক্ত করে। পাশাপাশি আটক করে ৩৫ জলদস্যুকে। ভারতীয় নৌবাহিনী এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড এলাকাটি অসংখ্য জলদস্যু চক্রের ঘাঁটি। আধা স্বায়ত্তশাসিত এই অঞ্চলের পুলিশ বাহিনী জানিয়েছে, তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে।
একটি বিবৃতিতে পুন্টল্যান্ড পুলিশ বলেছে, আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের পরিকল্পনা করছে—এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর পুন্টল্যান্ড পুলিশ বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিষয়ে ভারতের নৌবাহিনীর কাছ থেকে রয়টার্স মন্তব্য চাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গতকাল রোববার পুন্টল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা জলদস্যুদের কাছে পাঠানোর সময় মাদক পরিবহনকারী একটি গাড়ি জব্দ করেছে তারা।
চেয়ারম্যান : মিসেস সাজিয়া আইরিন
সম্পাদক মন্ডলির সদস্যআবু জাফর মনসুর আহম্মেদ
মোঃ লুৎফর রহমান
সম্পাদক ও প্রকাশক : রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান
©Dynamic Media Action Ltd