
সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে এবারও চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে আজ বুধবার ২৮ই জুন। এ উপলক্ষে জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু করে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অর্ধশত গ্রামে অন্তত ২০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে টোরা মুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা এএসএম রহমত উল্লাহ। এছাড়া হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফে অবস্থিত হামিদিয়া সিনিয়র মাদরাসা মাঠে ঈদের জামায়াতের ইমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা আরিফ চৌধুরী।
সাদ্রা দরবার শরীফের বড় পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী আগাম রোজা ও দুই ঈদ সম্পর্কে বলেন, হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এই তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখার সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছে, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং জিলহজ মাসের তারিখ দেখে আগ থেকেই ঈদুল আজহার তারিখ নির্দিষ্ট হয়ে যায। পীর মো. আরিফ চৌধুরী জানান, প্রতি বছর চাঁদপুরের ৪ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা একদিন আগে উদযাপিত হয়।
এছাড়া বুধবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী,আনোয়ারা উপজেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামের মির্জাখীল দরবারের অনুসারী লক্ষাধিক মুসলিম তাদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালী, ভোলা, শরীয়তপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, লক্ষ্মীপুর ও পিরোজপুর, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও ২৮ তারিখ ঈদুল আযহা পালিত হচ্ছে।