এ বছরে সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • ১৬৬৬ বার পড়া হয়েছে

এবছর ঈদে বাংলাদেশে মুসলিমদের ফিতরার সর্বনিম্ন হার ১১৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর সর্বোচ্চ ফিতরা হবে ২,৯৭০ টাকা।

ন্যূনতম ফিতরার এই হার গতবারের সমান। তবে গত বছর সর্বোচ্চ ফিতরা ছিল ২,৬৪০ টাকা।

বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এবারের হার নির্ধারণ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য রোজার ঈদে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।

মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।

আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম । খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম মাধ্যমে ফিতরা আদায় করতে হয়।

এসব পণ্যের বাজারমূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

সে অনুযায়ী গম বা আটার দামে ফিতরা দিলে ১১৫ টাকা, যবের দামে দিলে ৪০০ টাকা, খেজুরের দামে দিলে ২,৪৭৫ টাকা, কিসমিসের দামে দিলে ২,১৪৫ টাকা এবং পনিরের দামে দিলে ২,৯৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এ বছরে সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকা

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

এবছর ঈদে বাংলাদেশে মুসলিমদের ফিতরার সর্বনিম্ন হার ১১৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর সর্বোচ্চ ফিতরা হবে ২,৯৭০ টাকা।

ন্যূনতম ফিতরার এই হার গতবারের সমান। তবে গত বছর সর্বোচ্চ ফিতরা ছিল ২,৬৪০ টাকা।

বৃহস্পতিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এবারের হার নির্ধারণ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য রোজার ঈদে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।

মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।

আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম । খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম মাধ্যমে ফিতরা আদায় করতে হয়।

এসব পণ্যের বাজারমূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

সে অনুযায়ী গম বা আটার দামে ফিতরা দিলে ১১৫ টাকা, যবের দামে দিলে ৪০০ টাকা, খেজুরের দামে দিলে ২,৪৭৫ টাকা, কিসমিসের দামে দিলে ২,১৪৫ টাকা এবং পনিরের দামে দিলে ২,৯৭০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিটি।