দক্ষিন এশিয়ার বিশ্বকাপ ক্ষ্যাত এশিয়া কাপ ২০২৩ এ এখনও মাঠে নামা প্রায় অনিশ্চিত লিটনের। শুরু থেকেই দলের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে থাকার কথা ছিল লিটন দাসের। কিন্তু এবার নিয়ম তান্ত্রিক জটিলতার কারণে এর কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে। জানা গেছে অসুস্থত থাকার কারণে টিমের সঙ্গে যেতে পারেননি লিটন দাস।

তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার সোমবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন ক্লাসিক এই ব্যাটার। এরপর মঙ্গলবার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি। তবে মূল সমস্যা হলো, লিটনকে খেলাতে গেলে কিছু নিয়মতান্ত্রিক আইনি জটিলতায় পড়তে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। লিটনকে স্কোয়াডে নিতে হলে অন্য আর একজনকে বাদ দিতে হবে।

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) আইন অনুযায়ী, টুর্নামেন্ট শুরুর পর কোনো দলই নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারবে না। ইনজুরি কিংবা নির্দিষ্ট কোনো কারণে স্কোয়াড থেকে কেউ ছিটকে গেলে তার পরিবর্তে অন্য একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

এর আগে, লিটনের বদলি হিসেবে এনামুল হক বিজয়কে শ্রীলঙ্কাতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে লিটন দলে ফিরলে আবারও এনামুল হকের জায়গা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এর পার্ফর্মেন্স ভালো না হলেও এখনই তাকে বাদ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই দল থেকে। তাছাড়া নিয়ম অনুসারে বিজয়ের ইনজুরি জনিত জটিলতা না থাকায় বিজয়কে বাদ দিতে গেলেও এসিসিকে যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে বিসিবির। এজন্য অন্য বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। তা না হলে, মাঠে নামতে পারবেন না লিটন।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লিটনকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে যুক্ত করা হলেও এখনই কাউকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে ক্রিকেট বোর্ডের  প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ভাষ্য, এশিয়া কাপের স্কোয়াডে কিছু ইনজুরি সমস্যা আছে। সেজন্য টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, বাড়তি খেলোয়াড় সংযোজন প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে লিটনের ছাড়পত্র পেয়েছি। আপাতত লিটনের স্বাস্থ্য ঠিক আছে জেনে তাকে পাকিস্তান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।