শুক্রবার  (১০ নভেম্বর)  সকালে রাজধানীর বিজয় সরণিতে নবনির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করে মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন এর প্রাককালে তিনি বলেন,বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। দেশের মর্যাদা সমুন্নত রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে উন্নয়নের গতিধারায়। আমাদের প্রত্যয় নিতে হবে, আজকের বাংলাদেশ যতদূর উন্নত-সমৃদ্ধ হয়েছে, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, এটা ধরে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন,এই বাংলাদেশ ১৫ বছর আগে এই বাংলাদেশ ছিলো না। একটি অনুন্নত দেশ থেকে বদলে যাওয়া নতুন বাংলাদেশে রুপান্তর করা হয়েছে । বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা,দারিদ্র,অশিক্ষা দূর করে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করা। অর্থ্যাৎ খাদ্য,বস্ত্র, চিকিৎসা ও শিক্ষা সুনিশ্চিত করা। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই কাজ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশকে বদলে যাওয়া এক নতুন উন্নয়নশীল বাংলাদেশে রূপান্তর করা হয়েছে। কেউ চক্রান্ত করে এই চলমান গতিধারা রুখতে পারবেনা। এই অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গ বন্ধুর হাত ধরে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দেওয়ার সংগ্রাম থেকেই শুরু হয়। সেই সংগ্রামের পথ বেয়েই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। দ্রুত গতির ইন্টারনেট ওয়াইফাই সুবিধা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এবং আধুনিক সব প্রযুক্তি স্থাপনা করে দেশকে বিশ্বের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে দেশ এখন ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে। বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে, বৃত্তি পাচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা দরিদ্র মায়েদের মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনাকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে সরকার বাংলাদেশকে সকল ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে স্মার্ট করে গড়ে তুলেছে।

এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনে  মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষাই জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, কোনো কিছুই সম্পদ না। এটি কেও কেড়ে নিতে পারবে না, ডাকাতিও করতে পারবে না। । শিক্ষা থাকলে পরে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করা যাবে।