ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতার আত্মসমর্পণ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • ১৬৬০ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু (২৭)। এর আগে হত্যার দায় স্বীকার করে নিজের ফেইসবুক পেইজে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন এ ছাত্রলীগ নেতা।

ঝালকাঠি সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সায়মা পারভীন নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে স্ত্রী দাবি করে তাকে হত্যার দায় স্বীকার করে ঝালকাঠি সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অনু। এর আগে নিজের ফেইসবুক পেইজেও স্ট্যাটাস দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। পরে তার দেয়া তথ্যে ঝালকাঠি শহরের গাবখান ইকোপার্কের নির্জন গাছের তলায় সায়মা পারভীন নামে ওই তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহালে ওই তরুণীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে তিনটি ছুরির ক্ষত চিহ্ন শনাক্ত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর অনু সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, পাঁচ বছর আগে শহরের ফকির বাড়ি এলাকার প্রতিবেশী শাহাদাৎ হোসেন তালুকদারে মেয়ে সায়মা পারভীনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। চার বছর আগে তারা গোপনে বিয়ে করেন। কিন্তু গত কয়েকমাস আগে সায়মা অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং মোবাইল ফোনে অশ্লীল চ্যাট করে। বিষয়টি জানতে পেরে সায়মাকে সরে আসতে বলেন তিনি। কিন্তু সায়মা তা না শোনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকাল ১১টার দিকে শহরতলীর গাবখান ইকোপার্কে ডেকে তিনি একাই ছুরি দিয়ে আঘাত করে সায়মাকে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় শোকে ওই তরুণীর বাবা ও ভাইয়ের আহাজারি সবাইকে শোকাহত করে। এলাকাবাসীসহ স্বজনরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।

ঝালকাঠি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, ইকোপার্ক থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, নিহত সায়মা পারভীন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা দিলদার হোসেন শহরের ফকির বাড়ি সড়কের বাসিন্দা। আর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু নিহতের প্রতিবেশি এবং জেলা শহরের দলিল লেখক দিলদার খান হোসেনের ছেলে।
ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্ত্রীকে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতার আত্মসমর্পণ

আপডেট সময় : ১২:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু (২৭)। এর আগে হত্যার দায় স্বীকার করে নিজের ফেইসবুক পেইজে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন এ ছাত্রলীগ নেতা।

ঝালকাঠি সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সায়মা পারভীন নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে স্ত্রী দাবি করে তাকে হত্যার দায় স্বীকার করে ঝালকাঠি সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি অনু। এর আগে নিজের ফেইসবুক পেইজেও স্ট্যাটাস দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। পরে তার দেয়া তথ্যে ঝালকাঠি শহরের গাবখান ইকোপার্কের নির্জন গাছের তলায় সায়মা পারভীন নামে ওই তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহালে ওই তরুণীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে তিনটি ছুরির ক্ষত চিহ্ন শনাক্ত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর অনু সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, পাঁচ বছর আগে শহরের ফকির বাড়ি এলাকার প্রতিবেশী শাহাদাৎ হোসেন তালুকদারে মেয়ে সায়মা পারভীনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। চার বছর আগে তারা গোপনে বিয়ে করেন। কিন্তু গত কয়েকমাস আগে সায়মা অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং মোবাইল ফোনে অশ্লীল চ্যাট করে। বিষয়টি জানতে পেরে সায়মাকে সরে আসতে বলেন তিনি। কিন্তু সায়মা তা না শোনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকাল ১১টার দিকে শহরতলীর গাবখান ইকোপার্কে ডেকে তিনি একাই ছুরি দিয়ে আঘাত করে সায়মাকে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় শোকে ওই তরুণীর বাবা ও ভাইয়ের আহাজারি সবাইকে শোকাহত করে। এলাকাবাসীসহ স্বজনরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।

ঝালকাঠি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মহিতুল ইসলাম বলেন, ইকোপার্ক থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, নিহত সায়মা পারভীন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা দিলদার হোসেন শহরের ফকির বাড়ি সড়কের বাসিন্দা। আর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আলী ইমাম খান অনু নিহতের প্রতিবেশি এবং জেলা শহরের দলিল লেখক দিলদার খান হোসেনের ছেলে।