গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার সোনাতলা থানা পুলিশ। একই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া তিনটি অটো রিকশাও উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে বগুড়ার সোনাতলা থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ।
এর আগে গত শনিবার নিলু ফকির নামে এক অটোরিকশা চালক গাবতলীর নারুয়ামালা থেকে সোনাতলায় এলে ছিনতাইয়ের শিকার হন। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। পরের দিন রোববার রাতভর অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও ফুলছড়ি এলাকা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. জাকির, এনামুল, জনি, নাজমুল, মহির, জীবন ও সোহেল। তারা বগুড়ার কাহালু, সোনাতলা এবং গাইবান্ধার ফুলছড়ির বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, নিলু ফকির নিজের অটো নিয়ে সোনাতলার গনিয়ারকান্দি এলাকায় এলে কয়েকজন তার পথ রোধ করেন। তারা নিজেদের ডিবি (গোয়েন্দা শাখা) পুলিশ পরিচয় দিয়ে অটোরিকশাটি আটক এবং চালককে মারধর করে।
পরে নিলু ফকিরের হাত-পা বেঁধে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে সোনাতলার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরায়। পরে বুড়ারদহ ব্রিজের পাশে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার হলে নিলু ফকিরের কাছে ঘটনা জানতে পেরে মাঠে নামে পুলিশ।
জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, অভিযানে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও ফুলছড়ি এলাকা থেকে আন্তঃজেলা ছিনতাই চক্রের ওই ৭ সদস্যকে আটক হন। তাদের কাছে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত রশি, তিনটি বার্মিজ চাকু, মরিচের গুড়া পাওয়া যায়। তাদের দেয়া তথ্যে পুলিশ ফুলছড়ি উপজেলায় নিলু ফকিরের অটোসহ মোট তিনটি অটোরিকশা উদ্ধার করে।
আব্দুর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বগুড়ার বিভিন্ন থানায় ছিনতাই-মাদকসহ একাধিক মামলার হদিস মিলেছে। এ ছাড়া বগুড়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়সহ বিভিন্ন কৌশলে ইজিবাইকসহ এরকম যানবাহন ছিনতাই করতো। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে এসব জানিয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।