চিংড়িতে জেলি পুশ প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • ১৬৭১ বার পড়া হয়েছে

চিংড়ির বাজারে দেশ বিদেশে সুখ্যাতি রয়েছে খুলনার সুন্দরবন উপকূলের কয়রা উপজেলার দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়তের। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখোর থাকে এই স্থান ।  ভ্যান- ইজিবাইক- মোটরসাইকেল- নসিমন ভরে দূরদূরান্ত থেকে প্রান্তিক চাষীদের আনা বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি মাছ বেচাকেনা হয় এখানে। কিন্তু বেশি লাভের লোভে প্রায় পাঁচশ ডিপোতে (ঘর) রেখে এসব চিংড়ি মাছে সিরিঞ্জ দিয়ে ভাতের মাড় বা সাবুদানা এবং আরও কয়েক প্রকার রাসায়নিকের ব্যবহারে তৈরি জেলিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য চিংড়ির শরীরে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করে ওজন বাড়ান  লোভী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় প্রশাসন ও চিংড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে মাছের ওজন বেড়ে প্রতি কেজিতে ১৫০ টাকা বেশি পাওয়া যায়।

গত তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রায় অভিযান চালিয়ে মোট ১১টি অভিযানে ১০ জন অসাধু মাছ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয় ও সাথে জরিমানা করা হয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। জেলি পুশ করা ৮২৩ কেজি চিংড়ি জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়েছে। ৫ জুলাই দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়ত থেকে জেলি পুশ করা ২৫০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়। ৩ জুলাই একই স্থান থেকে ২১০ কেজি জেলি পুশ করা চিংড়ি জব্দ করা হয়েছিল। জব্দ করা চিংড়ি জনসম্মুখে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করেন কয়রা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক।

চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের কারণে মধ্যস্বত্বভোগী মাছ ব্যবসায়ী ফড়িয়া ও কিছু পাইকারি ব্যবসায়ী লাভবান হলেও প্রকৃতপক্ষে লোকসানের শিকার স্থানীয় চিংড়ি চাষিরা। ১০০০ টাকার চিংড়ি মাছের কেজি দাম কমে এখন  ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় নেমেছে। মাঝারি আকারের চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা থেকে নেমে দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা হয়েছে। ছোট আকারের চিংড়ির দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা থেকে কমে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় ঠেকেছে।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চিংড়িতে জেলি পুশ প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা

আপডেট সময় : ১১:০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

চিংড়ির বাজারে দেশ বিদেশে সুখ্যাতি রয়েছে খুলনার সুন্দরবন উপকূলের কয়রা উপজেলার দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়তের। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখোর থাকে এই স্থান ।  ভ্যান- ইজিবাইক- মোটরসাইকেল- নসিমন ভরে দূরদূরান্ত থেকে প্রান্তিক চাষীদের আনা বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি মাছ বেচাকেনা হয় এখানে। কিন্তু বেশি লাভের লোভে প্রায় পাঁচশ ডিপোতে (ঘর) রেখে এসব চিংড়ি মাছে সিরিঞ্জ দিয়ে ভাতের মাড় বা সাবুদানা এবং আরও কয়েক প্রকার রাসায়নিকের ব্যবহারে তৈরি জেলিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য চিংড়ির শরীরে সিরিঞ্জ দিয়ে পুশ করে ওজন বাড়ান  লোভী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় প্রশাসন ও চিংড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে মাছের ওজন বেড়ে প্রতি কেজিতে ১৫০ টাকা বেশি পাওয়া যায়।

গত তিন মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রায় অভিযান চালিয়ে মোট ১১টি অভিযানে ১০ জন অসাধু মাছ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয় ও সাথে জরিমানা করা হয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। জেলি পুশ করা ৮২৩ কেজি চিংড়ি জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়েছে। ৫ জুলাই দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়ত থেকে জেলি পুশ করা ২৫০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়। ৩ জুলাই একই স্থান থেকে ২১০ কেজি জেলি পুশ করা চিংড়ি জব্দ করা হয়েছিল। জব্দ করা চিংড়ি জনসম্মুখে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করেন কয়রা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক।

চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের কারণে মধ্যস্বত্বভোগী মাছ ব্যবসায়ী ফড়িয়া ও কিছু পাইকারি ব্যবসায়ী লাভবান হলেও প্রকৃতপক্ষে লোকসানের শিকার স্থানীয় চিংড়ি চাষিরা। ১০০০ টাকার চিংড়ি মাছের কেজি দাম কমে এখন  ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় নেমেছে। মাঝারি আকারের চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা থেকে নেমে দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা হয়েছে। ছোট আকারের চিংড়ির দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা থেকে কমে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় ঠেকেছে।