জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাম্বুটান চাষ

পাহাড়ের মাটিতে বিদেশি ফল রাম্বুটান চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন ঢাকা নিবাসী রাঙামাটির সন্তান প্রকৌশলী প্রবীণ চাকমা। জেলা সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের মুবাছড়ি এলাকায় নিজের চার একর পাহাড়ি জমিতে তিন বছর আগে ৩৫০টি রাম্বুটান গাছ লাগিয়েছেন তিনি।

এ প্রকৌশলী ভারতের চেন্নাই থেকে রাম্বুটানের চারাগুলো কিনে এনেছিলেন। ভারত থেকে প্রতিটি চারার দাম পড়েছে এক হাজার ৩০০ টাকা করে। আর দেশে আনার খরচসহ প্রতিটি চারার দাম পড়েছে দুই হাজার ৬০০ টাকা।

শখের বসে এসব চারা সংগ্রহ করলেও বর্তমানে তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। এ বাগান থেকে চলতি মওসুমে দুইবার ফল বিক্রি করে আয় করেছেন তিন লাখ টাকারও বেশি। রাঙামাটি কৃষি অফিস বলছে, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় রাম্বুটান বাগান রাঙামাটিতে অবস্থিত।

পাহাড়ের মাটিতে এক সময় জুম চাষের আধিক্য ছিল। কিন্তু সরকারের যুগোপযোগী কার্যক্রমের কারণে এখন এখানে বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ের মাটি কৃষির জন্য অত্যন্ত উৎকৃষ্ট। এখানে যা চাষ করা হয়, তাই চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপন্ন হয়, মানও ভালো হয়। তাই সরকারও কৃষির উন্নয়নে পাহাড়ে নিত্যনতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। স

কৃষি বিভাগ জানায়, তিন দশক আগে থেকে রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় অল্পস্বল্প রাম্বুটান চাষ হলেও এ ফল সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। রাম্বুটান দেখতে ডিম্বাকৃতি, খোসা নরম কাঁটাযুক্ত। পাকা ফল উজ্জ্বল লাল, কমলা বা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। পুরু খোসা ভেতরে সাদা শ্বাস। যা খেতে ও দেখতে লিচুর মতোই।

জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। অপুষ্ট ফলের রং সবুজ থাকে। প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফল চাষ করা যায়। তবে পানি সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত উর্বর দো-আঁশ মাটি এ ফল চাষের জন্য বেশি উপযোগী।

কৃষি প্রেমীরা বলছেন, সুস্বাদু রাম্বুটান পাহাড়ের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রাম্বুটান চাষ

আপডেট সময় : ০৬:২২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

পাহাড়ের মাটিতে বিদেশি ফল রাম্বুটান চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছেন ঢাকা নিবাসী রাঙামাটির সন্তান প্রকৌশলী প্রবীণ চাকমা। জেলা সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের মুবাছড়ি এলাকায় নিজের চার একর পাহাড়ি জমিতে তিন বছর আগে ৩৫০টি রাম্বুটান গাছ লাগিয়েছেন তিনি।

এ প্রকৌশলী ভারতের চেন্নাই থেকে রাম্বুটানের চারাগুলো কিনে এনেছিলেন। ভারত থেকে প্রতিটি চারার দাম পড়েছে এক হাজার ৩০০ টাকা করে। আর দেশে আনার খরচসহ প্রতিটি চারার দাম পড়েছে দুই হাজার ৬০০ টাকা।

শখের বসে এসব চারা সংগ্রহ করলেও বর্তমানে তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। এ বাগান থেকে চলতি মওসুমে দুইবার ফল বিক্রি করে আয় করেছেন তিন লাখ টাকারও বেশি। রাঙামাটি কৃষি অফিস বলছে, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় রাম্বুটান বাগান রাঙামাটিতে অবস্থিত।

পাহাড়ের মাটিতে এক সময় জুম চাষের আধিক্য ছিল। কিন্তু সরকারের যুগোপযোগী কার্যক্রমের কারণে এখন এখানে বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকরা। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ের মাটি কৃষির জন্য অত্যন্ত উৎকৃষ্ট। এখানে যা চাষ করা হয়, তাই চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপন্ন হয়, মানও ভালো হয়। তাই সরকারও কৃষির উন্নয়নে পাহাড়ে নিত্যনতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। স

কৃষি বিভাগ জানায়, তিন দশক আগে থেকে রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় অল্পস্বল্প রাম্বুটান চাষ হলেও এ ফল সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। রাম্বুটান দেখতে ডিম্বাকৃতি, খোসা নরম কাঁটাযুক্ত। পাকা ফল উজ্জ্বল লাল, কমলা বা হলুদ রঙের হয়ে থাকে। পুরু খোসা ভেতরে সাদা শ্বাস। যা খেতে ও দেখতে লিচুর মতোই।

জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। অপুষ্ট ফলের রং সবুজ থাকে। প্রায় সব ধরনের মাটিতে এ ফল চাষ করা যায়। তবে পানি সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত উর্বর দো-আঁশ মাটি এ ফল চাষের জন্য বেশি উপযোগী।

কৃষি প্রেমীরা বলছেন, সুস্বাদু রাম্বুটান পাহাড়ের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।