এশিয়ার চরম দরিদ্রের সংখ্যা সাড়ে ১৫ কোটি: এডিবি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৭২৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি- অনলােইন।

বর্তমানে এশিয়ার স্বল্পোন্নত-উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন অন্তত ১৫ কোটি ৫২ লাখ মনুষ। ২০২০ সালের করোনা মহামারি এবং তার প্রাথমিক ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর শুরু হওয়া মূল্যস্ফীতি এশিয়ায় চরম দারিদ্রের শিকার লোকজনের সংখ্যা বাড়িয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক ঋণদাতা সংস্থা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে সেই প্রতিবেদনটি।

এডিবির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোনার কারণে ২০২২ সালে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। তবে করোনা না হলেও অঞ্চলটিতে ওই বছর আট কোটি ৭২ লাখ মানুষ চরম গরিব থাকত।

২০২১ সালে এডিবির এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে এশিয়ায় আগের অনুমানের তুলনায় অতিরিক্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৮ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে।

এরও আগে ২০১৭ সালে চরম দারিদ্র‌্য সম্পর্কিত একটি সংজ্ঞা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী, কারো দৈনিক জীবনযাত্রার ব্যয় যদি ২ দশমিক ১৫ ডলারের (২৩৪ টাকা) কম হয়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি চরম দারিদ্র্যের শিকার।

প্রতিবেদনটির প্রকাশ উপলক্ষে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল এডিবি। সংস্থাটির শীর্ষ অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক সেই সংবাবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এডিবি প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ায় দরিদ্র হ্রাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় ৩ দশমিক ৬৫ থেকে ৬ দশমিক ৮৫ এর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক জানান, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল করোনা মহামারি থেকে ক্রমাগতভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তে থাকায় দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এই অর্থনীতিবিদের মতে, মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। এই পরিস্থিতিতে জনজীবনে দারিদ্র উচ্চহারে বাড়তে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে তা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত বিভিন্ন তৎপরতার পথে প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে উঠবে।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এশিয়ার চরম দরিদ্রের সংখ্যা সাড়ে ১৫ কোটি: এডিবি

আপডেট সময় : ০৪:২২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

বর্তমানে এশিয়ার স্বল্পোন্নত-উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন অন্তত ১৫ কোটি ৫২ লাখ মনুষ। ২০২০ সালের করোনা মহামারি এবং তার প্রাথমিক ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর শুরু হওয়া মূল্যস্ফীতি এশিয়ায় চরম দারিদ্রের শিকার লোকজনের সংখ্যা বাড়িয়েছে ৬ কোটি ৮০ লাখ।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক ঋণদাতা সংস্থা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে সেই প্রতিবেদনটি।

এডিবির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, করোনার কারণে ২০২২ সালে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। তবে করোনা না হলেও অঞ্চলটিতে ওই বছর আট কোটি ৭২ লাখ মানুষ চরম গরিব থাকত।

২০২১ সালে এডিবির এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে এশিয়ায় আগের অনুমানের তুলনায় অতিরিক্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ থেকে ৮ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে।

এরও আগে ২০১৭ সালে চরম দারিদ্র‌্য সম্পর্কিত একটি সংজ্ঞা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী, কারো দৈনিক জীবনযাত্রার ব্যয় যদি ২ দশমিক ১৫ ডলারের (২৩৪ টাকা) কম হয়, সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি চরম দারিদ্র্যের শিকার।

প্রতিবেদনটির প্রকাশ উপলক্ষে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল এডিবি। সংস্থাটির শীর্ষ অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক সেই সংবাবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এডিবি প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ায় দরিদ্র হ্রাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের দৈনিক আয় ৩ দশমিক ৬৫ থেকে ৬ দশমিক ৮৫ এর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক জানান, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল করোনা মহামারি থেকে ক্রমাগতভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়তে থাকায় দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এই অর্থনীতিবিদের মতে, মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে তৎপরতা শুরু করেছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। এই পরিস্থিতিতে জনজীবনে দারিদ্র উচ্চহারে বাড়তে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে তা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত বিভিন্ন তৎপরতার পথে প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে উঠবে।