শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করতে চায়ে মিশান এই ৭টি উপাদান

আবহাওয়ার পরিবর্তনে জ্বর , সর্দি , কাশি যেনো নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। ইদানীং ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগেরও বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে।

দিনের শুরুটা যদি ভিটামিনের ডোজ় দিয়ে হয়, তবে মন্দ হয় না। সাধারণ চায়ে কয়েকটি উপাদান মিশালেই ভিটামিন ঘাটতি পূরণের উপযোগী হয় উঠে।

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক উপাদানগুলো কি কি –

১. লেবুর রসঃ লিকার চায়ে লেবুর রস দিয়ে খাওয়াই দস্তুর। লেবুর রসে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশির হাত থেকেও আরাম দিতে পারে লেবু-চা।

২.আদাঃ সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা হলে চায়ে আদা দিয়ে খেয়ে থাকেন অনেকেই। আদার গন্ধে যে শুধু চায়ের স্বাদ বৃদ্ধি পায়, তা নয়। সঙ্গে চায়ের পুষ্টিগুণও বেড়ে যায়। কারণ, আদাতেও রয়েছে ভিটামিন সি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে আদা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

৩. তেজপাতা তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬। তেজপাতার গন্ধে মন একেবারে তরতাজা হয়ে ওঠে। পাশাপাশি চায়ের পুষ্টিগুণও বেড়ে যায় অনেকখানি।

৪. দারচিনিঃ দারচিনিতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন কে। শরীরে স্নায়ুর কার্যকারিতা ভাল রাখতে, পেশির গঠন মজবুত করতে এবং শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে ভিটামিন বি। ভিটামিন কে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। চায়ের মধ্যে একচিমটে দারচিনির গুঁড়ো দিলে তা স্বাদে-গন্ধেও হয়ে ওঠে অতুলনীয়।

৫. লবঙ্গঃ চায়ের পুষ্টিগুণ এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে তুলতে পারে লবঙ্গ। কারণ, এই মশলাতেও ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এ ছাড়াও লবঙ্গে যে পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ় থাকে, তা মস্তিষ্কের স্নায়ুর কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয়। লবঙ্গের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ কমায়। সর্দি, কাশিতেও আরাম দেয়।

৬. গোলমরিচঃ গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে, এ, সি এবং বি। ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়ে গোলমরিচ দিয়ে খাওয়ার চল বহু পুরনো। এ ছাড়াও আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো খনিজ রয়েছে গোলমরিচে।

এক কাপ গোলমরিচ দেওয়া চা যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, তেমনই বিপাকহার উন্নত করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

৭. হলুদঃ এক চিমটে হলুদ দুধ কিংবা চায়ে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ, হলুদে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি। সঙ্গে হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করতে চায়ে মিশান এই ৭টি উপাদান

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আবহাওয়ার পরিবর্তনে জ্বর , সর্দি , কাশি যেনো নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। ইদানীং ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগেরও বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। ভাইরাসের সাথে লড়াই করতে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে।

দিনের শুরুটা যদি ভিটামিনের ডোজ় দিয়ে হয়, তবে মন্দ হয় না। সাধারণ চায়ে কয়েকটি উপাদান মিশালেই ভিটামিন ঘাটতি পূরণের উপযোগী হয় উঠে।

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক উপাদানগুলো কি কি –

১. লেবুর রসঃ লিকার চায়ে লেবুর রস দিয়ে খাওয়াই দস্তুর। লেবুর রসে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশির হাত থেকেও আরাম দিতে পারে লেবু-চা।

২.আদাঃ সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা হলে চায়ে আদা দিয়ে খেয়ে থাকেন অনেকেই। আদার গন্ধে যে শুধু চায়ের স্বাদ বৃদ্ধি পায়, তা নয়। সঙ্গে চায়ের পুষ্টিগুণও বেড়ে যায়। কারণ, আদাতেও রয়েছে ভিটামিন সি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে আদা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

৩. তেজপাতা তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬। তেজপাতার গন্ধে মন একেবারে তরতাজা হয়ে ওঠে। পাশাপাশি চায়ের পুষ্টিগুণও বেড়ে যায় অনেকখানি।

৪. দারচিনিঃ দারচিনিতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন কে। শরীরে স্নায়ুর কার্যকারিতা ভাল রাখতে, পেশির গঠন মজবুত করতে এবং শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে ভিটামিন বি। ভিটামিন কে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। চায়ের মধ্যে একচিমটে দারচিনির গুঁড়ো দিলে তা স্বাদে-গন্ধেও হয়ে ওঠে অতুলনীয়।

৫. লবঙ্গঃ চায়ের পুষ্টিগুণ এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে তুলতে পারে লবঙ্গ। কারণ, এই মশলাতেও ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এ ছাড়াও লবঙ্গে যে পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ় থাকে, তা মস্তিষ্কের স্নায়ুর কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয়। লবঙ্গের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহ কমায়। সর্দি, কাশিতেও আরাম দেয়।

৬. গোলমরিচঃ গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে, এ, সি এবং বি। ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়ে গোলমরিচ দিয়ে খাওয়ার চল বহু পুরনো। এ ছাড়াও আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের মতো খনিজ রয়েছে গোলমরিচে।

এক কাপ গোলমরিচ দেওয়া চা যেমন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে, তেমনই বিপাকহার উন্নত করতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

৭. হলুদঃ এক চিমটে হলুদ দুধ কিংবা চায়ে মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ, হলুদে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি। সঙ্গে হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সংক্রমণজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।