৩ বছর পূর্ণ হলো দেশের প্রথম অনলাইন প্রিনেটাল কোর্সের

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৮৬৮ বার পড়া হয়েছে
আমাদের দেশের মাতৃসাস্থ্য সেবার আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে ঠিকই- কিন্তু এর সাথে বাই প্রডাক্ট হিসেবে উদ্ভব ঘটেছে অস্বাভাবিক হারের সিজারিয়ান অপারেশনের প্রবণতা।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গিয়েছে ৮০% এর অধিক মা সি সেকশন এর মাধ্যমে সন্তান প্রসব করছেন- যেখানে যেকোন দেশের স্বাভাবিক সি সেকশনের প্রয়োজনীয়তা হতে পারে সর্বোচ্চ ১০-১৫%
অর্থাৎ আমাদের দেশের প্রায় ৭০% সিজারিয়ান অপারেশনকে বলা যায় সম্পূর্ণরুপে অপ্রয়োজনীয়।
ডাক্তার/ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর অসহযোগিতা , সামাজিক ট্রেন্ড এর সাথে এর  পেছনের অন্যতম  একটি কারন হলো  মায়দের সন্তান প্রসব নিয়ে প্রস্তুতি না থাকা।
গর্ভকালীন সময় সম্পর্কে পড়াশোনা কিন্তু একজন মাকে ডেলিভারির জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে সাহায্য করে আলহামদুলিল্লাহ। ফলে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ানের হারও কমিয়ে আনা যায় বহুলাংশে।
এবার মূল গল্পে ফিরে আসি। ২০২০ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রিনেটাল কোর্স নিয়ে আসার পেছনে মূল লক্ষ্যই কিন্তু ছিলো গর্ভবতী মায়েরা যেনো জীবনের এই নাজুক সময়ে মানসিকভাবে প্রশান্তিতে থাকেন আর শারীরিক ভাবে থাকেন প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ জ্ঞানের আলোকে যেনো নিতে পারেন সকল সিদ্ধান্ত।
বিগত তিন বছরে “রৌদ্রময়ী প্রিনেটাল কোর্সের” একঝলক আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি:
১) প্রথম ব্যাচ ৩৮ জন নিয়ে শুরু করার পর, মোট ১৪টি ব্যাচে এ পর্যন্ত ১৭০০+ গর্ভবতী মা, সাফল্যের সাথে  দু মাসের এ কোর্সটি সম্পন্ন করেছেন।
২) বিগত বেশ কিছু ব্যাচ থেকে বাবাদের জন্যেও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে অধিকাংশ ক্লাস। বাবাদের গণনায় ধরলে সেবাগ্রহণকারীর সং্খ্যা ২৫০০+ হবে।
৩) রৌদ্রময়ী স্কুল থেকে যাত্রা শুরু হলেও, এই কোর্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে- Mother and childcare BD নামে নতুন একটি পেজ খোলা হয়।
৪) মায়েদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ও গর্ভকালীন নানা বিষয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল একত্রিত করে, খোলা হয়েছে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট।
৫) গর্ভাবস্থা, ডেলিভারি, ব্রেস্ট ফিডিং, সলিড খাবার- সহ মা হওয়ার যাত্রায় পাশে দাঁড়ানোর জন্য শুরু হয়েছে ফেসবুক গ্রুপ “রৌদ্রময়ী Mother and childcare BD “ এর।
এখানে আমাদের টিমের ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ ও দৌলাগণ নিরলসভাবে প্রতিদিন অসং্খ্য মায়ের নানান প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন।
৬) গর্ভাবস্থার শেষে  ও সন্তান ডেলিভারির সময়ে আরো বিশেষায়িত সেবাদানকল্পে- দেশে প্রথমবারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে শুরু করা হয় “দৌলা সেবা।”
এখন পর্যন্ত ১২০ জনের অধিক মা এ সেবা গ্রহণ করেছেন।
এবং দৌলাগণ আন্তর্জাতিক সংস্থা আমানি বার্থ থেকে ট্রেনিং নিয়ে, অত:পর আমাদের সাথে যোগদান করেছেন।
৭) সম্প্রতি যাত্রা শুরু হয়েছে “রৌদ্রময়ী অনলাইন ক্লিনিকের”- যেনো ঘরে বসে সুচিকিৎসার পাওয়া আরো সহজ হয় ইনশাআল্লাহ।
৮) অনলাইন ছাড়া অফলাইনেও প্রিনেটাল টিম ৪ টি বিশেষ সেমিনার আয়োজন করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের থেকে সরাসরি ট্রেনিং নিয়েছেন সন্তান প্রসবের সাথে জড়িত শতাধিক  চিকিৎসক, মিডওয়াইফ ও নার্স এবং গর্ভবতী নারী।
সেমিনারের নাম:
First ever prenatal class in Bangladesh, ( at  OGSB Hospital )
Guide for medical professionals towards natural birth, OGSB and Sheikh Fazilatunnesa Mujib Memorial KPJ Specialized Hospital
নরমাল ডেলিভারি ও পেইন মেনেজমেন্ট, মুসলিম লাইফস্টাইল এক্সপো
৯) নিউজ ও অন্যান্য মিডিয়াতেও সচেতনতামূলক লেখালেখি অব্যাহত রাখা হয়েছে প্রিনেটাল টিমের পক্ষ হতে।
১০) বাংলাদেশ সহ, দেশের বাইরের থেকেও বাংলা ভাষাভাষী মায়েরা নিয়মিত প্রিনেটাল কোর্সে  অংশ নিচ্ছেন। এর ভেতর  অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, কানাডা, আমেরিকা,  ভারত, স্পেন, ওমান, জার্মানি, ইটালির নাম উল্লেখযোগ্য।
১১) ইনশাআল্লাহ অল্পদিনের মাঝেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে-  “মা হবার গল্প”- এই বইটি সকল বাঙালি মা বাবাকে সন্তান ধারণ ও প্রসব সংক্রান্ত বিভিন্ন জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করবে।
কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, আলহামদুলিল্লাহ এই তিন বছরে, আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া কি?
নি:সন্দেহে উত্তর হবে- আপনাদের ভালোবাসা।
গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুদের নিয়ে কাজ করার একটা অদ্ভুত ব্যপার কি জানেন? কিভাবে যেনো সবার সাথে একটা emotional bondage তৈরি হয়ে যায়।
যখন আমাদের কোন স্টুডেন্ট লেবার পেইন নিয়ে নক করেন, কি করতে হবে জিজ্ঞেস করেন, লেবার রুমে যাবার আগে প্রিনেটালের নোটস পড়েন, প্রচণ্ড লেবার পেইনের মাঝেও আমাদের জন্যে দুআ করেন।
কিংবা মেডিকেশন ছাড়া নরমাল ডেলিভারির পেইন ম্যানেজমেন্ট বা সঠিক কারণে সিজারিয়ান অপারেশনে যাবার গল্পগুলো বলেন, অথবা কোন বাবা যখন ক্লাস দেখে দেখে ৮২ পৃষ্ঠার হাতে লেখা নোট তৈরি করেন স্ত্রীর জন্য-এবং তা আমাদের সাথে শেয়ার করেন, আসলেই সে সময়গুলোর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
বিশেষ করে দৌলা সেবার সময়, একজন মাকে সন্তান প্রসবের মতো কষ্টকর অবস্থায় যখন ভালোবাসার হাত বাড়ানো যায়, তাদের কষ্ট দূরীকরণে সাহায্য করা যায়- এরপর যখন নতুন শিশুটির পৃথিবীতে আসার সুসংবাদ পাই, তখন আমরা প্রত্যেকেই আনন্দে অধির হয়ে পরি।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা এ অল্প সময়ে যা দিয়েছেন, যতদূর নিয়েছেন, তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। ইনশাআল্লাহ যেনো বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পরে গর্ভকালীন পড়াশোনার গুরত্ব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের মেয়েরাও যেনো পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের ও তা প্রয়োগের সুযোগ পায়।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা যেনো অশেষ বারাকাহ দেন আমাদের সকল পরিশ্রমে।
সুস্থ মা, সুস্থ শিশু, নিরাপদ মাতৃত্ব হোক মূল প্রতিপাদ্য
হাসনীন চৌধুরী
কো-ফাউন্ডার, রৌদ্রময়ী স্কুল ও মাদার এন্ড চাইল্ড কেয়ার বিডি

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ বছর পূর্ণ হলো দেশের প্রথম অনলাইন প্রিনেটাল কোর্সের

আপডেট সময় : ০৪:৩৭:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
আমাদের দেশের মাতৃসাস্থ্য সেবার আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে ঠিকই- কিন্তু এর সাথে বাই প্রডাক্ট হিসেবে উদ্ভব ঘটেছে অস্বাভাবিক হারের সিজারিয়ান অপারেশনের প্রবণতা।
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গিয়েছে ৮০% এর অধিক মা সি সেকশন এর মাধ্যমে সন্তান প্রসব করছেন- যেখানে যেকোন দেশের স্বাভাবিক সি সেকশনের প্রয়োজনীয়তা হতে পারে সর্বোচ্চ ১০-১৫%
অর্থাৎ আমাদের দেশের প্রায় ৭০% সিজারিয়ান অপারেশনকে বলা যায় সম্পূর্ণরুপে অপ্রয়োজনীয়।
ডাক্তার/ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর অসহযোগিতা , সামাজিক ট্রেন্ড এর সাথে এর  পেছনের অন্যতম  একটি কারন হলো  মায়দের সন্তান প্রসব নিয়ে প্রস্তুতি না থাকা।
গর্ভকালীন সময় সম্পর্কে পড়াশোনা কিন্তু একজন মাকে ডেলিভারির জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে সাহায্য করে আলহামদুলিল্লাহ। ফলে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ানের হারও কমিয়ে আনা যায় বহুলাংশে।
এবার মূল গল্পে ফিরে আসি। ২০২০ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রিনেটাল কোর্স নিয়ে আসার পেছনে মূল লক্ষ্যই কিন্তু ছিলো গর্ভবতী মায়েরা যেনো জীবনের এই নাজুক সময়ে মানসিকভাবে প্রশান্তিতে থাকেন আর শারীরিক ভাবে থাকেন প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ জ্ঞানের আলোকে যেনো নিতে পারেন সকল সিদ্ধান্ত।
বিগত তিন বছরে “রৌদ্রময়ী প্রিনেটাল কোর্সের” একঝলক আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি:
১) প্রথম ব্যাচ ৩৮ জন নিয়ে শুরু করার পর, মোট ১৪টি ব্যাচে এ পর্যন্ত ১৭০০+ গর্ভবতী মা, সাফল্যের সাথে  দু মাসের এ কোর্সটি সম্পন্ন করেছেন।
২) বিগত বেশ কিছু ব্যাচ থেকে বাবাদের জন্যেও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে অধিকাংশ ক্লাস। বাবাদের গণনায় ধরলে সেবাগ্রহণকারীর সং্খ্যা ২৫০০+ হবে।
৩) রৌদ্রময়ী স্কুল থেকে যাত্রা শুরু হলেও, এই কোর্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে- Mother and childcare BD নামে নতুন একটি পেজ খোলা হয়।
৪) মায়েদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ও গর্ভকালীন নানা বিষয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল একত্রিত করে, খোলা হয়েছে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট।
৫) গর্ভাবস্থা, ডেলিভারি, ব্রেস্ট ফিডিং, সলিড খাবার- সহ মা হওয়ার যাত্রায় পাশে দাঁড়ানোর জন্য শুরু হয়েছে ফেসবুক গ্রুপ “রৌদ্রময়ী Mother and childcare BD “ এর।
এখানে আমাদের টিমের ডাক্তার, বিশেষজ্ঞ ও দৌলাগণ নিরলসভাবে প্রতিদিন অসং্খ্য মায়ের নানান প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন।
৬) গর্ভাবস্থার শেষে  ও সন্তান ডেলিভারির সময়ে আরো বিশেষায়িত সেবাদানকল্পে- দেশে প্রথমবারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে শুরু করা হয় “দৌলা সেবা।”
এখন পর্যন্ত ১২০ জনের অধিক মা এ সেবা গ্রহণ করেছেন।
এবং দৌলাগণ আন্তর্জাতিক সংস্থা আমানি বার্থ থেকে ট্রেনিং নিয়ে, অত:পর আমাদের সাথে যোগদান করেছেন।
৭) সম্প্রতি যাত্রা শুরু হয়েছে “রৌদ্রময়ী অনলাইন ক্লিনিকের”- যেনো ঘরে বসে সুচিকিৎসার পাওয়া আরো সহজ হয় ইনশাআল্লাহ।
৮) অনলাইন ছাড়া অফলাইনেও প্রিনেটাল টিম ৪ টি বিশেষ সেমিনার আয়োজন করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের থেকে সরাসরি ট্রেনিং নিয়েছেন সন্তান প্রসবের সাথে জড়িত শতাধিক  চিকিৎসক, মিডওয়াইফ ও নার্স এবং গর্ভবতী নারী।
সেমিনারের নাম:
First ever prenatal class in Bangladesh, ( at  OGSB Hospital )
Guide for medical professionals towards natural birth, OGSB and Sheikh Fazilatunnesa Mujib Memorial KPJ Specialized Hospital
নরমাল ডেলিভারি ও পেইন মেনেজমেন্ট, মুসলিম লাইফস্টাইল এক্সপো
৯) নিউজ ও অন্যান্য মিডিয়াতেও সচেতনতামূলক লেখালেখি অব্যাহত রাখা হয়েছে প্রিনেটাল টিমের পক্ষ হতে।
১০) বাংলাদেশ সহ, দেশের বাইরের থেকেও বাংলা ভাষাভাষী মায়েরা নিয়মিত প্রিনেটাল কোর্সে  অংশ নিচ্ছেন। এর ভেতর  অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, কানাডা, আমেরিকা,  ভারত, স্পেন, ওমান, জার্মানি, ইটালির নাম উল্লেখযোগ্য।
১১) ইনশাআল্লাহ অল্পদিনের মাঝেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে-  “মা হবার গল্প”- এই বইটি সকল বাঙালি মা বাবাকে সন্তান ধারণ ও প্রসব সংক্রান্ত বিভিন্ন জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করবে।
কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, আলহামদুলিল্লাহ এই তিন বছরে, আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া কি?
নি:সন্দেহে উত্তর হবে- আপনাদের ভালোবাসা।
গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুদের নিয়ে কাজ করার একটা অদ্ভুত ব্যপার কি জানেন? কিভাবে যেনো সবার সাথে একটা emotional bondage তৈরি হয়ে যায়।
যখন আমাদের কোন স্টুডেন্ট লেবার পেইন নিয়ে নক করেন, কি করতে হবে জিজ্ঞেস করেন, লেবার রুমে যাবার আগে প্রিনেটালের নোটস পড়েন, প্রচণ্ড লেবার পেইনের মাঝেও আমাদের জন্যে দুআ করেন।
কিংবা মেডিকেশন ছাড়া নরমাল ডেলিভারির পেইন ম্যানেজমেন্ট বা সঠিক কারণে সিজারিয়ান অপারেশনে যাবার গল্পগুলো বলেন, অথবা কোন বাবা যখন ক্লাস দেখে দেখে ৮২ পৃষ্ঠার হাতে লেখা নোট তৈরি করেন স্ত্রীর জন্য-এবং তা আমাদের সাথে শেয়ার করেন, আসলেই সে সময়গুলোর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
বিশেষ করে দৌলা সেবার সময়, একজন মাকে সন্তান প্রসবের মতো কষ্টকর অবস্থায় যখন ভালোবাসার হাত বাড়ানো যায়, তাদের কষ্ট দূরীকরণে সাহায্য করা যায়- এরপর যখন নতুন শিশুটির পৃথিবীতে আসার সুসংবাদ পাই, তখন আমরা প্রত্যেকেই আনন্দে অধির হয়ে পরি।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা এ অল্প সময়ে যা দিয়েছেন, যতদূর নিয়েছেন, তার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। ইনশাআল্লাহ যেনো বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পরে গর্ভকালীন পড়াশোনার গুরত্ব- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের মেয়েরাও যেনো পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের ও তা প্রয়োগের সুযোগ পায়।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা যেনো অশেষ বারাকাহ দেন আমাদের সকল পরিশ্রমে।
সুস্থ মা, সুস্থ শিশু, নিরাপদ মাতৃত্ব হোক মূল প্রতিপাদ্য
হাসনীন চৌধুরী
কো-ফাউন্ডার, রৌদ্রময়ী স্কুল ও মাদার এন্ড চাইল্ড কেয়ার বিডি