শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে গাজীপুর রণক্ষেত্র

পোষাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী বারানোর দাবীতে আজ দ্বিতীয় দিন (৯ নভেম্বর) গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলায় এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। ঢাকা-টঙ্গাইল মহাসড়ক ছাড়াও বেশ কিছু কারখানায় ভাংচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৭ জনকে আটক করে পুলিশ। সাভারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও আন্দোলন ঠেকাতে প্রায় ১৯ টি গার্মেন্টসে ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে।

এদিকে শ্রমিকদের দাবী পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচিতে অযৌক্তিকভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা শুধু তাদের বেতন বৃদ্ধি চায়।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকেরা জানান, বেতন বাড়ানোর দাবিতে ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে আসছিলেন শ্রমিকেরা। এরপর গতকাল মঙ্গলবার মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকেরা। এ জন্য আবার তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবী তাদের নুন্ন্যতম মজূরী  ১২ হাজার থেকে উন্নীত করে নুন্যতম ২৩ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারন করা হোক।

অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির মন্ত্যব্য একটি কুচক্রী মহল উস্কানী দিয়ে দেশের পরিস্থিতি ও আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তারাই শ্রমিকদের মাঝে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তারা রাজনৈতিক ফায়াদা লোটার চেষ্টা করছে।

বিক্ষোভকারিরা সাভারের আশুলিয়া,জামগড়া,নরসিংহ পুর সহ আরও বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভ করেন। এসময় অনেক গুলো গার্মেন্টস-শিল্প কারখানায় বন্ধ ও ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিশৃংখলা ঠেকাতে ও নিরাপত্তা রক্ষায় এলাকা জুড়ে গার্মেনটস গুলোর ফটকে ও বেশকিছু পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া শহরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে টহল দিচ্ছে বিজিবি, র‍্যাব ও আইন শৃঙ্খলা বাহীনি।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে গাজীপুর রণক্ষেত্র

আপডেট সময় : ০১:৫১:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

পোষাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরী বারানোর দাবীতে আজ দ্বিতীয় দিন (৯ নভেম্বর) গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলায় এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। ঢাকা-টঙ্গাইল মহাসড়ক ছাড়াও বেশ কিছু কারখানায় ভাংচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৭ জনকে আটক করে পুলিশ। সাভারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও আন্দোলন ঠেকাতে প্রায় ১৯ টি গার্মেন্টসে ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে।

এদিকে শ্রমিকদের দাবী পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচিতে অযৌক্তিকভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা শুধু তাদের বেতন বৃদ্ধি চায়।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিকেরা জানান, বেতন বাড়ানোর দাবিতে ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে আসছিলেন শ্রমিকেরা। এরপর গতকাল মঙ্গলবার মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকেরা। এ জন্য আবার তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। তাদের দাবী তাদের নুন্ন্যতম মজূরী  ১২ হাজার থেকে উন্নীত করে নুন্যতম ২৩ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারন করা হোক।

অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির মন্ত্যব্য একটি কুচক্রী মহল উস্কানী দিয়ে দেশের পরিস্থিতি ও আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তারাই শ্রমিকদের মাঝে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তারা রাজনৈতিক ফায়াদা লোটার চেষ্টা করছে।

বিক্ষোভকারিরা সাভারের আশুলিয়া,জামগড়া,নরসিংহ পুর সহ আরও বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভ করেন। এসময় অনেক গুলো গার্মেন্টস-শিল্প কারখানায় বন্ধ ও ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিশৃংখলা ঠেকাতে ও নিরাপত্তা রক্ষায় এলাকা জুড়ে গার্মেনটস গুলোর ফটকে ও বেশকিছু পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়া শহরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে টহল দিচ্ছে বিজিবি, র‍্যাব ও আইন শৃঙ্খলা বাহীনি।