ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সলো ট্রাভেলার প্রণয়ের অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা

সলো ট্রাভেলার প্রণয়ের অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের ভ্রমণ উপাখ্যানের প্রথম(১) পর্বঃ

নেপালের দ্বিতীয় দিন অথবা সার্কিট যাত্রার প্রথম দিন। ভোর বেলা থামেল থেকে Gungabo Bus Park এ এসে বেসিসাহার এর টিকেট কেটে ফেললাম। বাস ছাড়ে ৭:২০ এ যদিও টিকেট বলা ৬:৩০. এই বাসের ও অবস্থা ৬ নম্বর এর থেকেও করুণ ! সিটিং সার্ভিস টিকেট নিয়ে, লোকাল সার্ভিস দিতে দিতে নিয়ে গেছে। বেসিসাহার পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা ৩ তো বেজে যায়। বেশ কিছু যাত্রী সেখানেই থেকে যায় পারমিট নেবার জন্য (আমি কাঠমন্ডু থেকেই করে নিয়েছিলাম ল্যান্ড করার পর পরই). বেশিরভাগ মানুষ এরপর ভুলভুলে গিয়ে স্টে করে, কিন্তু আমার আগের থেকেই রুট প্ল্যান নাদি (Ngadi) এসে থাকবো।

সে মতোই একটা লোকাল বাস এ উঠে চলে আসা। নাদি আসার রাস্তাটা সুন্দর না হলেও আসে পাশের দৃশ্য খুবই সুন্দর। ডান দিকে বসলে দেখা যাবে এক হাত দূরে খাদ নেমে গেছে। একদম।বরাবর মার্সিয়াংদি(marsyangdi) নদীতে। এই শুকনো মৌসুমেও যথেষ্ট স্রোত আছে (ভরা বর্ষায় এর সৌন্দর্য দেখতে হবে)। দুর্বল হৃদয়ের ব্যাক্তিদের ডান দিকে না বসাই ভালো। ৩০ মিনিটের পথ ১:৩০ ঘণ্টায় এসে যখন আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখা টি হাউস এ গিয়ে দেখি রুম নাই তখন একটু মন খারাপ হলেও একটু খুঁজতেই বেশ ভালো আর একটা লজ পেয়ে যাই। হাইকিং লজ। বেশ সুন্দর এবং ছিমছাম। দাদা দিদি বেশ ভালো এবং হাসিখুশি। দিদির হাতের রান্না চমৎকার। এবং খাবার রিফিল ও দিলো (!!)। খাবারের প্রসংশা করতে শেষ পাতে আবার কয়েকটা পাপর ও হাজির। বেশ ভরপেট খেয়ে দিনের সমাপ্তি। ভোর বেলা আবার রওয়া দিতে হবে।

চলবে…

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সলো ট্রাভেলার প্রণয়ের অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা

আপডেট সময় : ১১:১১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

সলো ট্রাভেলার প্রণয়ের অন্নপূর্ণা সার্কিট ট্রেকের ভ্রমণ উপাখ্যানের প্রথম(১) পর্বঃ

নেপালের দ্বিতীয় দিন অথবা সার্কিট যাত্রার প্রথম দিন। ভোর বেলা থামেল থেকে Gungabo Bus Park এ এসে বেসিসাহার এর টিকেট কেটে ফেললাম। বাস ছাড়ে ৭:২০ এ যদিও টিকেট বলা ৬:৩০. এই বাসের ও অবস্থা ৬ নম্বর এর থেকেও করুণ ! সিটিং সার্ভিস টিকেট নিয়ে, লোকাল সার্ভিস দিতে দিতে নিয়ে গেছে। বেসিসাহার পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা ৩ তো বেজে যায়। বেশ কিছু যাত্রী সেখানেই থেকে যায় পারমিট নেবার জন্য (আমি কাঠমন্ডু থেকেই করে নিয়েছিলাম ল্যান্ড করার পর পরই). বেশিরভাগ মানুষ এরপর ভুলভুলে গিয়ে স্টে করে, কিন্তু আমার আগের থেকেই রুট প্ল্যান নাদি (Ngadi) এসে থাকবো।

সে মতোই একটা লোকাল বাস এ উঠে চলে আসা। নাদি আসার রাস্তাটা সুন্দর না হলেও আসে পাশের দৃশ্য খুবই সুন্দর। ডান দিকে বসলে দেখা যাবে এক হাত দূরে খাদ নেমে গেছে। একদম।বরাবর মার্সিয়াংদি(marsyangdi) নদীতে। এই শুকনো মৌসুমেও যথেষ্ট স্রোত আছে (ভরা বর্ষায় এর সৌন্দর্য দেখতে হবে)। দুর্বল হৃদয়ের ব্যাক্তিদের ডান দিকে না বসাই ভালো। ৩০ মিনিটের পথ ১:৩০ ঘণ্টায় এসে যখন আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখা টি হাউস এ গিয়ে দেখি রুম নাই তখন একটু মন খারাপ হলেও একটু খুঁজতেই বেশ ভালো আর একটা লজ পেয়ে যাই। হাইকিং লজ। বেশ সুন্দর এবং ছিমছাম। দাদা দিদি বেশ ভালো এবং হাসিখুশি। দিদির হাতের রান্না চমৎকার। এবং খাবার রিফিল ও দিলো (!!)। খাবারের প্রসংশা করতে শেষ পাতে আবার কয়েকটা পাপর ও হাজির। বেশ ভরপেট খেয়ে দিনের সমাপ্তি। ভোর বেলা আবার রওয়া দিতে হবে।

চলবে…